বরিশালে প্রতিপক্ষের হামলায় ছাত্রদল নেতার দুই হাত ‘প্রায় বিচ্ছিন্ন’


 বরিশালের বাকেরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: ছাত্রদল নেতার দুই হাত গুরুতর জখম


বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রদলের এক নেতার দুই হাত গুরুতর জখম হয়।


হামলার শিকার ছাত্রদল নেতা


আসাদ উল্লাহ খান (২৫), যিনি নিয়ামতি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি, শনিবার (৯ মার্চ) রাত ৯টার দিকে নিয়ামতি বন্দরে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন। তিনি ওই এলাকার মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে।


প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফলের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে ১০-১৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। হামলায় তাঁর দুই হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং দুই পায়ের রগ কাটা পড়ে।


আহতের বর্তমান অবস্থা


গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) হাসপাতালে পাঠানো হয়।


আসাদের সহযোদ্ধা রাকিব মোছাব্বির জানান, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর দুই হাত ও এক পা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।


ঘটনার পেছনের কারণ : 


স্থানীয়দের মতে, গত বছর দুর্গাপূজার সময় বরিশাল-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান নিয়ামতি বন্দরে আসেন। তখন স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন ফরাজী স্লোগান দিলে আসাদ উল্লাহ তাঁকে নিষেধ করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ ঘটনার জের ধরেই শনিবার রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।


প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া : 


বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তার সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে, তবে এখনো কেউ আটক হয়নি।


রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া : 


বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব নাসির হাওলাদার এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা দলীয়ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


এই ঘটনা নিয়ামতি এলাকার রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আরও তীব্র করে তুলেছে। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে আরও সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post