প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশে ফিরছেন শেখ হাসিনা
গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়, এবং শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর তার ও দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়, যার মধ্যে জুলাই আন্দোলনে সহিংসতা ও দুর্নীতির অভিযোগ অন্যতম।
বিভিন্ন মহল থেকে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি উঠলেও, সম্প্রতি ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. রাব্বি আলম দাবি করেছেন, শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশে ফিরবেন।
আন্তর্জাতিক সমর্থন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ
ড. রাব্বি আলম বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য এককভাবে তরুণ প্রজন্মকে দায়ী করা ঠিক নয়। বরং তাদেরকে ষড়যন্ত্রের শিকার করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক সংকটে আছে এবং এর সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, "গণতন্ত্রের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক পরিবর্তন হতে পারে, তবে যা ঘটেছে, তা সন্ত্রাসী বিদ্রোহ।"
ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন
আওয়ামী লীগের বহু নেতা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন বলে ড. রাব্বি আলম জানান। ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, "আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই, যিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপদ আশ্রয় ও ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছেন।"
তিনি বাংলাদেশের বর্তমান প্রশাসনের উপদেষ্টাদের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, "তাদের ফিরে যেতে হবে, যেখান থেকে তারা এসেছে।"
শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ড. রাব্বি আলম দৃঢ়তার সাথে বলেন, "শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও বাংলাদেশে ফিরছেন। এই সংকটের জন্য তরুণদের দায়ী করা ঠিক নয়, বরং তাদের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ নতুন মোড় নিচ্ছে। শেখ হাসিনার দেশে ফেরার সম্ভাবনা এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক কীভাবে প্রভাব ফেলবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে। তবে এক বিষয় নিশ্চিত—দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
Tags
জাতীয়