ইফতারে কী খাবেন, কী খাবেন না


 - রমজানে ইফতারে কী খাবেন এবং কী পরিহার করবেন?


রমজানে সুস্থ ও সতেজ থাকতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা জরুরি। সারাদিন রোজা রাখার পর এমন খাবার নির্বাচন করা উচিত, যা শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি জোগাবে, আবার হজমের সমস্যাও তৈরি করবে না। তাই ইফতারে কী খাবেন এবং কী খাবেন না, তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


ইফতারে যেসব খাবার খাওয়া উচিত : 


১. খেজুর: খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত এবং স্বাস্থ্যকর। এটি দ্রুত শক্তি জোগায় এবং হজমে সহায়ক। চার-পাঁচটি খেজুর খেলে প্রায় ১০০ ক্যালরি পাওয়া যায়।


2. কলা: কলায় রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করে। একটি কলায় প্রায় ১০৫ ক্যালরি থাকে।



3. ছোলা-বুট: ২০-২৫ গ্রাম ছোলা খেলে প্রোটিন ও ফাইবার পাওয়া যায়, যা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। তবে বেশি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।



4. ডিম: একটি ডিম থেকে প্রায় ৮০ ক্যালরি পাওয়া যায় এবং এটি দেহের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে।



5. ফলমূল: তরমুজ, আপেল, কমলা, খরমুজ ইত্যাদি ফল পানিশূন্যতা রোধ করে এবং ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে।



6. শরবত ও ডাবের পানি: ইসুবগুলের ভুসি, লেবুর শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং হজমে সহায়ক হয়।




ইফতারে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত : 


1. তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার: পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি ইত্যাদি খাবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।



2. অতিরিক্ত খাবার: একসঙ্গে বেশি খাবার খেলে হজমের সমস্যা হয়। তাই ধীরে ধীরে এবং পরিমাণমতো খাবেন।



3. টকজাতীয় ফল: সাইট্রিক অ্যাসিড থাকার কারণে ইফতারে বেশি টকজাতীয় ফল খেলে অ্যাসিডিটি বেড়ে যেতে পারে।



4. টমেটো: এতে ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে, যা পাকস্থলীতে ইরিটেশন তৈরি করতে পারে।



5. ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার: অতিরিক্ত ঝাল খাবার পাকস্থলীর অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।



6. চা ও কফি: ইফতারের সময় চা-কফি পান করলে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের নিঃসরণ বাড়তে পারে, যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করে।


সুস্থ থাকতে সচেতন থাকুন : 


রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও সময়ের পরিবর্তন আসে, তাই শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা জরুরি। উপরের পরামর্শগুলো অনুসরণ করলে রোজার সময় সুস্থ থাকা সম্ভব।

Post a Comment

Previous Post Next Post