![]() |
ছবি: সংগৃহীত নিউজে সংবেদনশীল তথ্য থাকতে পারে |
চাঁদপুরে পরকীয়ার জেরে নির্মম হ*ত্যাকাণ্ড : মা-মেয়ে আটক
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে পরকীয়া ও আর্থিক লেনদেনের জেরে নির্মম হ*ত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রবাসী আবুল হোসেন মানিকের বাসার ছাদে দিনমজুর আলমগীর হোসেনকে (৩৫) গলা কেটে হত্যা করা হয়। হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রহস্য উদঘাটন করে শাহরাস্তি থানা পুলিশ।
হ*ত্যার মূল অভিযুক্ত মা ও মেয়ে :
পুলিশ জানায়, শাহরাস্তি উপজেলার মনিপুর গ্রামে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। হ*ত্যাকাণ্ডের পরপরই বাড়ির মালিক প্রবাসী মানিকের স্ত্রী খোদেজা বেগম (৫০) ও তাদের মেয়ে মাহমুদা আক্তার সোনিয়াকে (৩০) আটক করে থানায় নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সোনিয়া হত্যার দায় স্বীকার করে। পরে পুলিশ তাদের আদালতে পাঠায় এবং ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।
হ*ত্যার কারণ ও আর্থিক লেনদেন :
নি*হত আলমগীর হোসেনের স্ত্রী তাছলিমা বেগম জানান, তার স্বামী সোনিয়ার কাছে ১২ লাখ টাকা পেতেন। টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে তাকে হ*ত্যা করা হয়।
অন্যদিকে, সোনিয়া পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে, আলমগীরের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল এবং সে তাকে বিরক্ত করত। ক্ষোভের কারণেই সে এই হ*ত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি চিতোষী বাজার থেকে কেনা হয়েছিল এবং তা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
হ*ত্যাকাণ্ডের সন্ধানে পুলিশ :
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে নিহত আলমগীরের চিৎকার শুনে প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম শিপন সন্দেহজনক শব্দ শুনতে পান। তিনি চোর সন্দেহে ডাক চিৎকার করলে খোদেজা বেগমসহ ছাদে উঠে নিথর দেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে পুলিশকে খবর দেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত অব্যাহত :
শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার জানান, আলমগীরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। হ*ত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
• পুলিশ আরও জানায়, ঘটনায় আরও কেউ সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত চলছে।
• এ নির্মম হ*ত্যাকাণ্ড এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যার নেপথ্য কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।