সেহরিতে ৪ খাবার খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের



 রমজানে সুস্থ থাকতে সেহরিতে অবশ্যই রাখবেন এই ৪ খাবার


রমজান মাসে দীর্ঘ সময় উপবাস থাকার ফলে শরীরে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। তবে ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেকেই ক্লান্তি ও পানিশূন্যতায় ভুগতে পারেন। তাই পুষ্টিবিদরা সেহরিতে এমন খাবার রাখার পরামর্শ দেন, যা সারাদিন শক্তি জোগাবে এবং শরীর সুস্থ রাখবে।


বিশেষজ্ঞদের মতে, সেহরিতে চারটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার নিশ্চিত করা জরুরি। আসুন জেনে নিই, সেগুলো কী—


১. পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার


সেহরিতে শরীর হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা খুবই জরুরি। পুষ্টিবিদ ফাদি আব্বাসের মতে, সেহরির অন্তত ৭০% খাবার তরলজাতীয় হওয়া উচিত। পানি, দই, লাবান (ছানার পানি) বা ডাবের পানি পান করলে শরীর দীর্ঘ সময় সজীব থাকবে।


২. সহজপাচ্য শর্করা


সেহরিতে ধীরে হজম হয় এমন শর্করা খাওয়া দরকার, যা দীর্ঘ সময় শক্তি সরবরাহ করবে। ওটস, লাল চালের ভাত, হোল গ্রেইন ব্রেড, ডাল বা আলুর মতো খাবার ভালো বিকল্প হতে পারে। এগুলো ধীরে হজম হয় এবং রোজার সময় শক্তি ধরে রাখতে সহায়তা করে।


৩. প্রাকৃতিক চিনিসমৃদ্ধ খাবার


সেহরিতে প্রাকৃতিকভাবে চিনিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শরীরকে সতেজ রাখে। খেজুর, কলা, আপেল বা মধুর মতো খাবার দীর্ঘ সময় শক্তি সরবরাহ করে এবং রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে।


৪. সবজি ও ফল


সেহরিতে সালাদ ও তাজা ফল খেলে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়। এতে ফাইবার থাকে, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং হজমপ্রক্রিয়া ঠিক রাখে। শসা, গাজর, লেটুস ও ফল যেমন কমলা, তরমুজ, পেঁপে খেলে সারাদিন ভালো থাকা যায়।


যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত : 


ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়: চা ও কফি পান করলে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে যায়।


অতিরিক্ত লবণ ও মসলা: অতিরিক্ত লবণ বা ঝাল খাবার খেলে সারাদিন তৃষ্ণা বেশি পায় এবং অস্বস্তি হয়।


তেলে ভাজা খাবার: ভাজাপোড়া খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং অস্বস্তি বাড়ায়।



শেষ কথা : 


সঠিক খাদ্যাভ্যাস রোজার সময় শরীরকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। সেহরিতে পানি, শর্করা, প্রাকৃতিক চিনিসমৃদ্ধ খাবার ও ফল-সবজি নিশ্চিত করলে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে এবং সারাদিন প্রাণবন্ত থাকা সম্ভব হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post