দাউদকান্দিতে দিনদুপুরে ছিনতাই, সাহসী নারীর তৎপরতায় দুই ছিনতাইকারী আটক -
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া কানড়া ঈশা খাঁ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে এক সাহসী নারী ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েও দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে তাদের আটক করাতে সক্ষম হন।
ঘটনার বিবরণ -
রোববার দুপুর ১২টার দিকে গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে শহীদনগরগামী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার এক যাত্রী, ইয়াছমিন আক্তার, ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার হন। ছিনতাইকারীরা রামদা ঠেকিয়ে তার কাছ থেকে ৫০০ টাকা ও একটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। মুঠোফোনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে আরও টাকা থাকায় তিনি ঝুঁকি নিয়েও দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখান।
সাহসী পদক্ষেপ ও ছিনতাইকারীদের আটক -
ছিনতাইয়ের পরপরই ইয়াছমিন আক্তার ধাওয়া করে ছিনতাইকারীদের অবস্থান শনাক্ত করেন এবং ‘ডাকাত, ডাকাত’ বলে চিৎকার করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সাতপাড়া এলাকায় দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আটককৃত ছিনতাইকারী ও তদন্ত :
আটকরা হলেন দাউদকান্দি পৌর সদরের তুজারভাঙ্গা গ্রামের হোসেন মিয়া (২৯) ও হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বেড়াতি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (১৯)। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের শরীরে গণধোলাইয়ের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয়দের মতামত :
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, সাতপাড়া গ্রামটি ছিনতাইকারীদের নিরাপদ আস্তানা হয়ে উঠেছে। এখানে বিভিন্ন মামলার আসামিরা ভাড়া থাকে বা স্থায়ীভাবে বসবাস করে।
পুলিশের বক্তব্য :
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, "স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুই ছিনতাইকারীকে বিকেল ৪টায় আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"
উপসংহার :
এই ঘটনা প্রমাণ করে যে সাধারণ মানুষও সচেতন ও সাহসী হলে অপরাধীদের প্রতিহত করা সম্ভব। ইয়াছমিন আক্তারের সাহসিকতা এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুই ছিনতাইকারী ধরা পড়েছে, যা ভবিষ্যতে অপরাধীদের জন্য সতর্কবার্তা হয়ে থাকবে।