খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে

 

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল, লন্ডনে চিকিৎসাধীন - 


বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য টানা দুই মাস ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। বেশ কিছুদিন লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি থাকার পর বর্তমানে তিনি বড় ছেলে তারেক রহমানের পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন।


তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে থাকার কারণে বেগম জিয়ার মানসিক অবস্থা উন্নত হয়েছে, যা তার শারীরিক সুস্থতার ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। লন্ডনের চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকার কারণে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটাই স্থিতিশীল।


দেশে ফেরা নির্ভর করছে চিকিৎসকদের মতামতের ওপর। 


বিএনপি নেত্রীর দেশে ফেরার বিষয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা এবং চিকিৎসকদের সুপারিশের ওপরই তা নির্ভর করছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি তিনি লন্ডনে গিয়েছিলেন এবং বিমানবন্দর থেকে সরাসরি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন। দীর্ঘ প্রায় তিন সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তাকে তারেক রহমানের বাসায় নেওয়া হয়, এবং তিনি এখনও সেখানেই রয়েছেন।


দীর্ঘদিন কারাবাস ও শারীরিক জটিলতা : 


দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে তার মুক্তি দেয়, তবে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় ছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে তিনি বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পান।


বয়স ও স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা : 


৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন, যার মধ্যে লিভার সিরোসিস অন্যতম। চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকলেও তার শারীরিক সুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্বেগ রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে।


বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। উন্নত চিকিৎসা এবং পরিবারের সান্নিধ্যে থেকে তিনি আগের চেয়ে ভালো অনুভব করছেন। চিকিৎসকদের মতামত এবং তার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করেই ঠিক হবে কবে তিনি দেশে ফিরতে পারবেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post