নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ ও গুজবের বিরুদ্ধে তার বক্তব্য -
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম গতকাল (২৫ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি গঠিত হতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব গ্রহণের লক্ষ্যে তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন।
গুজব ও তার প্রতিক্রিয়া :
পদত্যাগের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। কিছু পোস্টে তাকে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এসব গুজবের জবাবে নাহিদ ইসলাম স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তার ব্যাংক হিসাব প্রকাশ করেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন, যেখানে সোনালী ব্যাংকে থাকা তার একমাত্র সরকারি অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
ব্যাংক হিসাবের স্বচ্ছতা :
নাহিদ ইসলাম জানান, উপদেষ্টা পদ গ্রহণের আগে তার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। দায়িত্ব নেওয়ার পর ২১ আগস্ট ২০২৪ সালে সরকারিভাবে সোনালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। তিনি উল্লেখ করেন—
জমা হয়েছে: ১০,০৬,৮৮৬ টাকা
উত্তোলন করা হয়েছে: ৯,৯৬,১৮৮ টাকা
অন্য কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, তার বা তার পরিবারের (স্ত্রী, মা, বাবা) নামে বাংলাদেশে কোনো জমি বা ফ্ল্যাট নেই এবং তারা কোনো সম্পত্তি কেনেননি।
সহযোগীদের সম্পদের বিবরণ :
তার একান্ত সচিবের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ অ্যাকাউন্টে বর্তমানে ৩৬,০২৮ টাকা রয়েছে। নাহিদ ইসলাম আরও জানান, তার সচিব বা তার পরিবারের কেউ কোনো সম্পদ কেনেননি।
তিনি বলেন, তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পদের স্বচ্ছ হিসাব রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে তা প্রকাশ করা হবে।
তথ্য যাচাইয়ের আহ্বান :
নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন, তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী যে কেউ তার সম্পদের তথ্য যাচাই করতে পারে। তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, সততা ও স্বচ্ছতার নীতিতে বিশ্বাসী থেকে তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছেন।