ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি, পুলিশের দাবি—ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি
টাঙ্গাইলের জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও ধর্ষণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে কিছু নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তার তিন ডাকাত, আরও কয়েকজন পলাতক
শুক্রবার রাতে সাভার এলাকা থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সক্রিয় সদস্য—মুহিত (মানিকগঞ্জ), সবুজ (শরীয়তপুর) ও শরীফ (ঢাকা)—কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৩টি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি ও ২৯,৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
অপরাধ স্বীকার, তদন্ত চলছে
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেছে এবং আরও কয়েকজন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
নারী যাত্রীদের বক্তব্য ও তদন্তের অগ্রগতি
এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, বাসের নারী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তারা ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং শিগগিরই পুরো চিত্র পরিষ্কার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডাকাতির মামলার আপডেট
ওমর আলী নামে এক বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন, যেখানে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগেও ডাকাতির ঘটনা
গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী "আমরি ট্রাভেলস" বাসে ডাকাতি হয়। তিন ঘণ্টা ধরে চলা ওই ঘটনায় ডাকাতরা টাকা-পয়সা ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে এবং কিছু নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে।
পুলিশ এ ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার, চালক ও সহকারীকে আটক করেছিল, তবে ৫৪ ধারায় আদালতে তোলার পর তারা জামিনে মুক্তি পান।